তুলির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে চেপে বসলো ওরা দু’জন।
সজীব বললো, ‘চল অমর, এবার আমরা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরীফ রহমানের সাথে একটু আলাপ করে আসি।’
একবাক্যে সায় দিলো অমর, ‘চল।’
এক সময় গাড়ি শরীফ রহমানের প্রতিষ্ঠানের কাছে এসে থামলো। সজীব ও অমর মাইক্রো বাস থেকে নেমে এগিয়ে গেলো। গেটে মোতায়েনকৃত সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলো, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিক, শরীফ রহমান সাহেব আছেন?’
‘হ্যাঁ, আছেন। উনার নিজস্ব অফিস রুমে, ওপর তলায়।’
শরীফ রহমানের অফিস কক্ষের সামনে এসে দেখলো চেয়ারে একজন বৃদ্ধ লোক বসে রয়েছেন। সজীবকে দেখে ওঠে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘কাকে চায়?’
‘শরীফ সাহেব কে।’
‘কিন্তু তিনিতো কারো সাথে দেখা করবেননা। আমার ওপর নির্দেশ আছে, সাহেবের বিনা অনুমতিতে কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।’
সজীব পকেট থেকে ভিজিটিং কার্ড বের করে তাঁর হাতে দিয়ে বললো, ‘কিন্তু তিনি আমাদের সাথে দেখা করবেন। এই কার্ডটি তাকে দেখিয়ে বলুন, আমি তাঁর সাথে দেখা করতে এসেছি।’
লোকটি ভেতরে প্রবেশ করলো। একটুক্ষণ পর ফিরে এসে বললো, ‘আপনারা ভেতরে যান, সাহেব ডাকছেন।’
সজীব ভেতরে প্রবেশ করে, তাকে অনুসরণ করে অমর।
শরীফ রহমান আহবান জানান, ‘আসুন ইয়াং ম্যান। তারপর কি মনে করে?’
সজীব ধীর কণ্ঠে বললো, ‘যদি কিছু মনে না করেন তবে আপনাকে কয়েকটি প্রশ্ন করবো।’
‘যখন ডাকাতদল দোকানে হামলা চালায়, তখন আপনি দোকানেই ছিলেন?’
‘হ্যাঁ, সেই সময় আমি দোকানেই ছিলাম। ডাকাত দলের আতর্কিত হামলায় প্রথমে ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। পরে সুযোগ বুঝে প্রাণটা হাতে নিয়ে কোনও রকম পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।’
‘আচ্ছা, আপনার এই প্রতিষ্ঠান কত দিনের?’
‘প্রায় পাঁচ বছর।’
‘কখন থেকে জিম রহমানের সাথে আপনার পরিচয়?’
‘এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকেই উনার সাথে আমার পরিচয়।’
‘আচ্ছা, জিম রহমানের সাথে আপনার পরিচয়ের পর থেকে এই পাঁচ বছরের মধ্যে তাঁর দোকানে এই রকম ঘটনা ঘটতে দেখেছেন কি?’
‘না তো।’
সজীব বললো, ‘দেখুন, কেসটার সাথে আমি জড়িয়ে পড়েছি। মাঝে মধ্যে যদি এখানে আপনার কাছে আসতে হয়, তবে দয়া করে কিছু মনে করবেন না যেন।’
শরীফ রহমান একগাল হেসে বললেন, ‘না- না, মনে করার কি আছে। মাঝে মাঝে আসবেন, আমি বরং খুশীই হবো।’