শরীর জোড়া নদী তখন স্রোত হীন, হেমন্তের শিশিরে শিশিরে ভরে আছে লাল শালুকের কোমল পাপড়ি। শান্ত স্নিগ্ধ বিকেল শেষ হলে শীতের আলতো শিহরণে রাত্রি নামবে অতপরঃ। সে মাঝি কত দূরে কে জানে মরা জোছনায় ভাঙ্গা ডিঙ্গি টারে বয়ে নেবে শেষ বার।
দু কূলের কাশ ফুল ঝরে গেছে কবে শিউলির সুরভী রেখে গেলে আগরবাতির কাছে, উদভ্রান্ত পথিকের মত খুঁজো না সে পুরনো পথের রেখা আর। যেনো টুকরো টুকরো শব্দের হার মুহূর্তের মালিকা গেঁথে রেখে গেছি ডাইরির হলুদ পাতায়।
ভাঙ্গা চশমার কাঁচে হেমন্তের শেষে এভাবে যদি পাও হারানো উষ্ণতা ধন্য সে শব্দের হার, বিরহের বীণার তারে তারে একদিন যে বেদনা বুনেছিলে তার দিতে দাম বসন্ত ব্যর্থ ছিলো আমার, তুমি শুধু জেনো প্রিয় হেমন্তের শান্ত নদীটি ছিলো শুধুই তোমার।