ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
MBBS- DHAKA MEDICAL, PHD-Cambridge
উনি যথেষ্ট নম্র ভদ্র একজন মহিলা।
তার উপস্থাপনা,বাচনভঙ্গি এবং একজন ডাক্তার হিসেবে তার পেশাদারি আচরণ সবাইকেই মুগ্ধ করেছে।
এবং করোনা নিয়ে কথা বলার মতো অনেক দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের চেয়েও তার কথা বার্তা পরিমার্জিত, রুচিশীল, প্রাণবন্ত বলে মনে হয়েছে।
প্রতিটা দিন উনি যেভাবে মিডিয়া ফেইস করছেন এবং জনগণের সামনে তথ্য উপস্থাপন এবং করণীয় সম্পর্কে অবহিত করছেন তা প্রশংসার দাবীদার।
সে নিজে অসুস্থ থাকার পরেও দায়িত্বে অবহেলা করেননি বিন্দু পরিমান।
আর আমাদের এই প্রজন্মের কিছু সুশীল তার শাড়ির সংখ্যা নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
ওরা জানেনা যে এই ভদ্র মহিলা প্রতিবার যাকাতই দেয় প্রায় ২২হাজার শাড়ি। শত কোটি টাকা প্রতিমাসে কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন দেয় তার পরিবার। কখনো প্রচার করেছেন?
তিনি কিন্তু একজন ডাক্তার এবং একজন প্রফেসর।
তার মত অনেক দক্ষ মানুষ আছে যারা কিনা তাদের দক্ষতা আমাদের দেশে না থেকে বিদেশে কাজে লাগাচ্ছে।
সে কিন্তু দেশের মাটিতেই দেশের মানুষের জন্যই তার শ্রম এবং মেধা দিয়ে যাচ্ছে।
তার মুল্যায়ন আমরা কতটুকু করতে পারছি!?
এরকম শাড়ি তিনি প্রতিদিন ২২ টা করে কেনার ক্ষমতা রাখেন, এটা তার পার্সোনাল ব্যাপার, এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কি আছে!
সত্যি ভাই দেশটা বড় অদ্ভুত!
ভাল কাজ করতে গেলে কিভাবে টেনে নিচে নামানো যায়, সেটা at least ভালো পারি আমরা।
ম্যামকে নিয়ে একটি কথা বলবো
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ব্যক্তিত্বে অনন্যা, গোড়ামি মুক্ত, মেধাবী আর আত্ম বিশ্বাসে ঝলমলে। বাঙালি নারীর অনন্যতাকে তিনি ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। প্রতিদিন ২৫ টি টেলিভিশন, ১৫ টির বেশি দৈনিক কাগজ, অনলাইনের চৌকষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৮৩ সালে, নেতৃত্বের সহজাত গুণাবলীটা সেখানেই আয়ত্ব করেছেন তিনি। প্রতিকূল পরিবেশে দাঁড়িয়ে বিরুদ্ধ স্রোতে সাঁতার কাঁটতে তিনি শিখেছিলেন ঢাকা মেডিকেলের ডরমিটরিতে কাটানো দিনগুলোতেই। জড়িত ছিলেন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও।
কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পাশ করার পরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজ করেছিলেন। পরে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, যেটাকে এখন সবাই ‘নিপসম’ নামে চেনে- সেখান থেকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করে তিন বছর গবেষণা করেছেন। তিনি নিপসমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন দেশের বাইরে, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন পিএইচডি ডিগ্রি।