লেখা ঃ আর এইচ আর রাশেদ।
সময়রেখার আমি আজ শেষ প্রান্তবিন্দুতে ,আর কয়দিন? কতটাই না নিষ্ঠুর এসময়! এ সয়য়টাই আজ আমাকেও এত নিষ্ঠুর করেছে। নয়তো এভাবে কি ওকে কষ্ট দিতে পারতাম?
আর মেয়েটারও বা কি,সেই স্কুল জীবন থেকেই তো দুজনের ভালোবাসার ছোট ছোট সুখের বিন্দুগুলো আজ লক্ষ লক্ষ আলোক মেলার ন্যায় বিশালতায় ছড়িয়ে। মাকড়সা মতো একটু একটু করে বুনে রাখা সপ্নজাল, অপ্রাপ্তিগুলো প্রাপ্তির এক অনিল অধরীর মাঝে আজ যেন এক মরন ব্যাধির গ্রাসে আক্রান্ত।
আজকাল রুপার সথে তেমন ভালো ব্যবহারও করিনা , অনেকটাই এড়িয়ে যাই। যেমন আমার সাথে দেখা করতে আসলে বলি কিজন্যে আশচ,ফিরে যাও তোমার জন্য চিন্তা করবে বাসায়।যদি ও ভালোবাসায় আবেগী হয়ে কোন কথা বলতো, একটু ভালোবাসতে চাইতো,তখন গম্ভীর কন্ঠে তা নিরাশ করতাম।ও অনেক কষ্ট পেত তখন, কখন কখন তো আমার কাছথেকে আড়াল হয়ে গিয়ে কাঁদত।
তখন খুব খুব নিজের উপর ঘৃনা হতো,নিজের শরীরে নিজেই আঘাত করতে মনচাইত। ওর চোখের একফোঁট জল দেখলেই মনেহতো যেন কেউ একজন পুরো একটা সাগরের জলগুলোকে বোজা বানিয়ে আমার উপর চাপিয়ে দিচ্চে। তখই মন চাইতো তাকে বুকেমধ্য আগলে রাখি,যত কষ্ট আছে তা ভালোবাসায় ভরিয়ে দেই।
কিন্তু না, পারলাম না। মাঝখানে শক্ত দেয়াল হয়ে দাঁড়ায় সেই মরনব্যাধি। বার বার আমাকে মনেকরিয়ে দেয় যে, কে আমি! দিনের পর দিন গ্রাস করেই যাচ্চে। কি’বা আর করার আছে ক্যান্সার তো এমনি হয়।একটু একটু করে নিস্বেশ করে দেয়।
রুপার দিকে তাকালেই যেন সব ভুলেযাই,বাঁচতে ইচ্চে হয়, ভালোবাসতে ইচ্চে হয়। আর হবেও বা না কেন? ওতো দেখতে এমনি ছিল যেমনি দেখতে ছিল মেঘ জড়ে পড়া বৃষ্টি শেষে প্রকৃতির পূর্নতা! এখন যেন রুপা চোখের আড়াল হলেই বাঁচি,করনটা কি যান? প্রাণ খুলে কাঁদতে পারি। ও কষ্ট পেলে যে আমিও কষ্ট পাই। কি নিষ্ঠুর এ পৃথীবির নিয়তি।
অনেক সময়তো মনে হয় বিধাতার সাথে যদি যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া যেত,তাহলে হয়তো তাই করতাম। কিন্তু পারবোনা যানি,আমাদের এই ভালোবাসা টা ২.৫”/৭” খাটেই সমাপ্তি ঘটবে! তাইতো তাকে কষ্ট,ব্যথা দেই,যাতে কোন এক ব্যথার দরুন আমাকে ভুলতে কষ্ট না পায়।
আমি চলে যাওয়ার পরও যেন একটু হলেও সুখী হয়।না তাও আমি পারলামনা।ওর ভালোবাসার অতুল গভীরে আমার ছোট্ট ভুলগুলি তলিয়েই যাচ্ছে। আমিও ধীরে ধীরে মরনব্যধির গ্রাসে আগ্রাসী হচ্ছি,আর ওর মনে একটু একটু করে পুনর্জীবিত হচ্ছি। “হায়রে ভালোবাসা! ভালোবাসা আর নিয়তির যুদ্ধে বারেবার ভালোবাসারই পরাজয়।”