বৃষ্টির দিনে সবকিছুই কেমন উলটা পালটা হয়ে যায়। আসমানের নিয়মহীন গর্জন আর বৃষ্টির চমৎকার দৃশ্য উপেক্ষা করে হুমায়ুন আহমেদ এর ইস্টিশন পড়তেছিলাম।
বই পড়ার নেশা লাগলে আমার অন্য কোন নেশা কাজে দেয় না।
কিন্তু নতুন পরিবেশে, নতুন অফিসে আমার মাথার ভিতর দিয়া কিছুই যাইতেছে না।
থেকে থেকে আসমানে বজ্র ধ্বনি হইতেছে।
গত দুই ঘন্টা যাবত ক্ষিদা চেপে রাখছি।
৩৩৩ তে কল করলাম। আমাদের চা ম্যানের ছোট হেলপারের কাছি শুনছি এখানে ৩৩৩ তে কল করলেই কক্ষমতে চা হাজির!
আমি চা আর বিস্কুটের কথা বলে আয়েশ করতে করতে চেয়ারে দুলছি। চা ম্যানের ছোট হেলপার দুধ চা আনলো, বিস্কুট না আনবার কোন কারন ব্যাখ্যা করতে পারলোনা।
চা’য়ে চুমুক দিয়ে পুরনো হসপিটালের ক্যান্টিনের কথা মনে পড়ে গেলো আমার।
কি করুণ টেস্ট তা ভাষায় প্রকাশ করবার ইচ্ছা নাই আমার! মনে হয় জ্বর গলা ব্যাথা হইলে মা যেমন লবণ দিয়া গরম পানি গলা গরগরা করাইতেন, এই চায়ের ছেয়ে ওইটাও বেশি স্বাদ লাগতো।