লেখা ঃ ওফা ইয়াদ।
হঠাৎ করেই ইয়াদ এর মাথায় ভূত চাপলো আজ নীতুকে পঞ্চাশ টা গোলাপ দেবে। নীতু নিশ্চই খুশিতে গদগদ হয়ে বলবে
-তাহলে আমাকে তোমার মনে আছে?
জবাবে ইয়াদ কি বলবে তা ও ঠিক করে রেখেছে।
চিন্তা করতে করতেই শাহবাগের ফুলের দোকানের সামনে এসে গেলো।ড্রাইভারকে বললো
-তুমি বাসায় চলে যাও,আমি একাই ফিরবো। হ্যা তোমার ম্যাডাম যদি কিছু জিগ্যেস করে,বলবে কাজে বিজি আছে। পরে আসবে।কি আজব! ফুলগুলোতে একদম কাটা নেই! সব কাটা ওরা ছেটে ফেলেছে!ফুলের সাথে কাটা না থাকলে মানায় না…ইয়াদ কয়েক দোকান খুজে,বহু কষ্টে পঞ্চাশ টা কাটাওয়ালা গোলাপ নিয়েছে।নীতুর হাতে দিতেই,নীতু কাটার ঘাই খেয়ে নিশ্চই কটমট করে তাকাবে,নয়তো বিশাল ঝাড়ি দিয়ে কান্ড ঘটাবে কিছু।ভাবতেই খুশি লাগে ইয়াদের কাছে…বাকি রাস্তাটা হাটতে হাটতে আরো অনেক কিছু ভাববে ইয়াদ। নীতুকে ক্ষেপিয়ে তার বেশ মজা লাগে।আকাশে আজ সুন্দর চাদ উঠেছে,
হিমু আজ অবশ্যই লাপাত্তা হয়ে যাবে।ইয়াদ ভাবছে আর হাটছে ফুটপাতের রাস্তা ধরে এগিয়ে চলছে ইয়াদ। কুকুরের ডাকে একটা অস্তিরতা লক্ষ করেছে সে।
সম্ভবত রাত বাড়ার সাথে সাথে এদের মধ্যে অস্তিরতা বেড়ে যায়,তাই এমন আজব সুরে ডাকে ওরা।
শুধু মানুষ নয়! তাহলে প্রাণিদের ও বিরহ ব্যাথ্যা থাকে? তাই তাদের নি:সঙ্গতা বেড়ে গেলে এরা ও তা হজম করার চেষ্টা করে?
এক হাতে ফুলের গোচা ধরা,আরেক হাত পেন্ডুলামের মত দুলিয়ে দুলিয়ে হাটছে আর নানান সব চিন্তা করছে সে।
আর আজব ব্যাপারগুলা নিয়ে ভাবতেই বেশি মজা লাগে তার।
হঠাত তার পেন্ডুলামের দোলন থেমে গেল! থেমে গেলোনা,ঠিক কেউ যেন চেপে ধরেছে সেটা!
পিছু ফিরে তাকাতেই দেখে এক পিচ্চি এসে তার হাত ধরে আছে।-কিরে? কি চাই? টাকা লাগবে?
মাথা নেড়ে না করলো পিচ্চি।-তো কি? ভাত খাবি? চল আমার বাসায় নিয়ে তোকে ভাত খাওয়াবো।কোন কথা বলেনা পিচ্চি।